আপনার হঠাৎ খুব টাকার প্রয়োজন। আলমারিতে টাকা রাখা আছে। চাবি খুঁজে পাচ্ছেন না, খুলতেও পারছেন না। টাকার থেকেও কোন লাভ হলো না। সামনের একটি কাচের জারে চকলেট রাখার আছে। জারে ঢাকনা খুব শক্ত করে আটকে গেছে। চকলেট বের করতে পারলেন না। পাসওয়ার্ড ভূলে গেছেন। আপনার নিজের QUORA একাউন্টে ঢুকতে পারছেন না ।
বোঝা গেল – সামনে কোনকিছু থাকলেই কাজ হয় না। সেটা খুলে, আলাদা করে, নিতে হয়।
বাতাসের একটি উপাদান অক্সিজেন, যেটা আমরা ফুসফুস এর মাধ্যমে শরীরে গ্রহণ করি। অক্সিজেন ছাড়া আমরা বাঁচাতে পারি না। বাতাস থেকে অক্সিজেন বাছাই করে, সেটা টেনে শরীরে নেবার ব্যবস্থা আছে আমাদের ফুসফুসে। তবে, আমাদের ফুসফুস পানি থেকে অক্সিজেন আলাদা করতে পারে না, টেনে শরীরে নিতেও পারে না ।
Oxygen দু ভাবে থাকে (১) মৌল হিসেবে, যেমন Nitrogen ও কিছু নিষ্ক্রিয় গ্যাসের সঙ্গে বাতাসের মিশ্রণ (২) যৌগ হিসেবে, যেখানে অপর এক বা একাধিক মৌল পদার্থের সঙ্গে রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় জুড়ে থাকে — যেমন জল (হাইড্রোজেন এর সঙ্গে), বালু বা Silica (Silicon নামের মৌল পদার্থের সঙ্গে) ইত্যাদি।
আমাদের শরীরে অক্সিজেন প্রয়োজন মৌল পদার্থ হিসেবে। যৌগ পদার্থের অক্সিজেন আমাদের শরীর আলাদা করে নিতে পারেনা, কারণ রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় যুক্ত অক্সিজেন কে শ্বাস কাজের জন্যে অপর মৌল থেকে আলাদা করতে প্রচুর শক্তি দরকার হতো, যেটা শরীরে সম্ভব নয় / সেকারণে বাতাসে যে অক্সিজেন, যা মৌল হিসেবে আছে, সেটাই আমরা গ্রহণ করতে পারি
আমাদের শরীরের জন্য যে অক্সিজেন প্রয়োজন সেটা হলো মুক্ত অক্সিজেন যেটা বাতাসের অন্য উপাদানের সাথে দুর্বল বন্ধনে আবদ্ধ থাকে। তাই ফুসফুস সেটাকে সহজেই ভাঙতে পারে যা কোনো রুপ আয়ন সৃস্টি করেনা ফলে সেটা ১০০% খাটি অক্সিজেন হিসেবে ব্যবহার করতে পারে। কিন্তু পানিতে একটি অক্সিজেন পরমাণু দুটি হাইড্রোজেন পরমাণুর সাথে ইলেকট্রন শেয়ারের মাধ্যমে শক্তিশালী বন্ধনে আবদ্ধ থাকে যেটা আমাদের ফুসফুস বিভাজিত করলে অক্সিজেন আয়ন তৈরি করে যা শরীরের অন্য উপাদানের সাথে রাসায়নিক বিক্রিয়া করে ক্ষতি করে ফলে দেহের শ্বসন ক্রিয়ায় সমস্যা হয় তাই মানুষ মারা যায়। কিন্তু মাছ বা পানির অন্য প্রাণীর শরীরে অক্সিজেন আয়ন তৈরি হলেও তা অতিরিক্ত পানির সাথে মিলে পুনরায় অক্সিজেই তৈরি করে। যা মানব দেহে অসম্ভব।