বাংলাদেশের কেরামতি! ইউরোপ আমেরিকার মতো বৃহত্তম পর্যটন কেন্দ্র গড়ে হৈচৈ ফেলে দিলো বাংলাদেশ!

বাংলাদেশের কেরামতি! ইউরোপ আমেরিকার মতো বৃহত্তম পর্যটন কেন্দ্র গড়ে হৈচৈ ফেলে দিলো বাংলাদেশ!

#BangladeshiNews #BangladeshiLivenews #BangladeshiTvnews

নান্দনিক ও শৈল্পিক পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার অপার সম্ভাবনা রয়েছে চাঁদপুরের চরগুলোয়। তাই তো পদ্মা, মেঘনা ও ডাকাতিয়ার কোল ঘেঁষে চাঁদপুর শহর সাজতে যাচ্ছে পর্যটন কেন্দ্র ও অর্থনৈতিক অঞ্চল হিসেবে। এত দিন সরকারি বা বেসরকারিভাবে কোনো বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান এগিয়ে না আসায় তা স্বপ্নই থেকে ছিল। অবশেষে স্বপ্ন বাস্তবায়নে এগিয়ে এসেছে বেসরকারি উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান ‘ব্লু রিভার আইল্যান্ড রিসোর্ট অ্যান্ড ট্যুরিজম ক্লাব লিমিটেড’।

জাপান-বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠানটি চাঁদপুরের মেঘনার চরে নান্দনিক ও শৈল্পিক পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার লক্ষ্যে একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে। প্রকল্পের জন্য ইতিমধ্যে ৬০০ একর জায়গার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এতে ব্যয় করা হবে ৬ হাজার কোটি টাকা। আর উপযোগী জায়গা হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে চাঁদপুর সদর উপজেলার কল্যাণপুর ও বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন মৌজার দাসাদী-সংলগ্ন মেঘনা নদীর তিনটি চর। শহর থেকে চরগুলোর দূরত্ব হচ্ছে― বড় স্টেশন মোলহেড থেকে তিন কিলোমিটার উত্তর-পূর্ব দিকে। তিনটি বিচ্ছিন্ন বিশাল চর বেছে নেওয়ার কারণ চাঁদপুরকে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার জন্য

স্বাধীনতার স্মৃতি ও আধুনিক নানা সুবিধা নিয়ে প্রতিষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বিশাল এই পর্যটন প্রকল্প। এর মধ্যে থাকছে বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের স্মৃতি-সংবলিত ভাস্কর্য, জাতীয় চার নেতার ভাস্কর্য, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের ইতিহাস-ঐতিহ্যের জাদুঘর, পানির ওপর ভাসমান কটেজ, ৪ কিলোমিটার দীর্ঘ ক্যাবল কার, ট্রেডিশনাল কটেজ, স্টুডিও অ্যাপার্টমেন্ট, পাঁচ তারকা হোটেল, থিম পার্ক, রিভার ক্রুজ, স্পিডবোট, হেলিকপ্টার, কনভেনশন হল, থিয়েটার, মিউজিয়াম, ইন্টারন্যাশনাল এক্সপো সেন্টার, মার্কেট, ফুড কোট, জিমনেসিয়াম, ইনডোর ও আউটডোর গেমস, ক্রিকেট অ্যারোনা, সুইমিং ক্লাব, ওয়াটার রাইড, হসপিটাল, পার্টি সেন্টার, হলি কর্নার, রিসার্চ ইনস্টিটিউট, স্টাফ রেসিডেন্সিয়াল এরিয়া, অ্যাগ্রিট্যুরিজম, গ্রিন এনার্জি, ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেটসহ প্রধান প্রধান শহরের সঙ্গে শীতাতপনিয়ন্ত্রিত নিজস্ব পরিবহনব্যবস্থা এবং পর্যটন ডিপ্লোমা কোর্স স্কুল।
এ বিষয়ে ব্লু রিভার আইল্যান্ড রিসোর্ট অ্যান্ড ট্যুরিজম ক্লাব ব্যবস্থাপনা পরিচালক, এই পর্যটন কেন্দ্রে প্রতিদিন লক্ষাধিক লোকের ভ্রমণের ব্যবস্থা এবং ২০ হাজার পর্যটকের রাত্রিযাপনের সুবিধা থাকবে। এই পর্যটন কেন্দ্র নির্মাণ করা হলে প্রায় পাঁচ হাজার লোকের কর্মসংস্থান তৈরির পাশাপাশি বাংলাদেশের পর্যটনশিল্প বিকাশে অগ্রণী ভূমিকা রাখবে। এ ছাড়া এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব পাবে।
চাঁদপুরের দুটি স্থানে ইকোনমিক জোন করার লক্ষ্যে ইতোমধ্যে ১২ হাজার একর ভূমি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এখানে গড়ে উঠবে বিভিন্ন প্রকার শিল্পপ্রতিষ্ঠান। চাঁদপুরে এই পর্যটন কেন্দ্রটি স্থাপন করা হলে ইকোনমিক জোনের ব্যবসায়ীরা বিভিন্নভাবে উপকৃত হবেন। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করার জন্য তিনটি ধাপে বিভক্ত করা হয়েছে। মোট ৬০০ একর ভূমির মধ্যে প্রথম ধাপে ২৬৫ একর, দ্বিতীয় ধাপে ২১০ একর এবং তৃতীয় ও শেষ ধাপে প্রয়োজন ১২৫ একর।

চাঁদপুর তিন নদীর মোহনা বড়স্টেশন মোলহেডে ঘুরতে আসা একজন পর্যটক উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে জানান, চাঁদপুরে শুধু বড়স্টেশন মোলহেড ছাড়া তেমন কোনো পর্যটন কেন্দ্র নেই। শুধু শীতের এই সময়ে দর্শনার্থীরা মেঘনার বালুচরে যেতে পারে। তবে এখন যদি চরগুলোয় নান্দনিক ও শৈল্পিক পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়, পর্যটকরা উপকৃত হবেন। এটি চাঁদপুরবাসীর দীর্ঘদিনের স্বপ্ন। আমরা চাই, যাতে খুব দ্রুত পর্যটন কেন্দ্রটি গড়ে তোলা হয়। তখন শুধু চাঁদপুর নয়, দেশের এবং বিদেশের পর্যটকরাও এখানে এসে ভিড় জমাবেন।

স্থানীয় অর্থনীতিবীদ বলেন, মেঘনার চরগুলোতে স্থায়ীভাবে পর্যটন অঞ্চল গড়ে তোলা হলে এটি হবে চাঁদপুরবাসীর বিশাল প্রাপ্তি। ৬০০ একর জমিতে প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকা ব্যায়ে চরগুলোতে নান্দনিক ও শৈল্পিক পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে। এতে একদিকে প্রচুর কর্মসংস্থান তৈরি হবে, অন্যদিকে চাঁদপুর হবে আরও উন্নত। চাঁদপুর জেলার জন্য এটি একটি বড় প্রকল্প। পরিকল্পনা অনুযায়ী পর্যটন কেন্দ্র তৈরি হলে সারা বাংলাদেশের পর্যটকরা তখন চাঁদপুরে আসবেন।

Leave a Comment

বাংলাদেশের কেরামতি!! ইউরোপ আমেরিকাকে ছাড়িয়ে বিশ্বের অত্যাধুনিক পর্যটন কেন্দ্র বানাচ্ছে বাংলাদেশ!

বাংলাদেশের কেরামতি!! ইউরোপ আমেরিকাকে ছাড়িয়ে বিশ্বের অত্যাধুনিক পর্যটন কেন্দ্র বানাচ্ছে বাংলাদেশ!

#BangladeshiNews #BangladeshiLivenews #BangladeshiTvnews

সাগরের তরতাজা ইলিশ ও হরেক রকমের সামুদ্রিক মাছের স্বাদ নেন দ্বীপ ঘুরতে যাওয়া যে কেউ। কিন্তু এত সব আনন্দ-বিনোদনের মধ্যে পর্যটকদের পথের কাঁটা হয়ে ওঠে অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধা ও যাত্রী যাপনের জন্য উন্নত কোনো হোটেল, মোটেল ও কটেজ না থাকায়। এবার পর্যটকদের সেই চাহিদার ষোলকলা পূর্ণ করতে নিঝুম ও হাতিয়ায় বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন (বিপিসি) হাতে নিয়েছে অর্ধশত কোটি টাকার আধুনিক পর্যটন কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প। যেখানে পর্যটন মোটেল-হোটেল, আধুনিক কটেজ, রেস্তোরাঁ, ওয়াচ টাওয়ার থেকে শুরু করে পর্যটকদের দ্বীপে আনা নেওয়ার জন্য পর্যটন করপোরেশন সাগরে ভাসাবে পর্যটকবাহী দুটি ক্রুজ ভেসেলও।

দেশি-বিদেশি পর্যটকদের সেবা দেওয়া শুরু করার চেষ্টা করে যাচ্ছি। চট্টগ্রাম পর্যটন মোটেলের ডেপুটি ম্যানেজার সাইফুর রহমান বলেন, চট্টগ্রাম অঞ্চলের পর্যটন শিল্পের বিকাশে বিপিসি একগুচ্ছ প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এর মধ্যে নিঝুম দ্বীপ অন্যতম।

প্রায় ৯২ বর্গমাইল আয়তনের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের আধার নিঝুম দ্বীপ হাতিয়ার মূল ভূখণ্ড থেকে ৯০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত। ১১টি চরের ৪০ হাজার ৩৯০ একর ভূমি নিয়ে প্রাকৃতিক রূপে ভরে ওঠা দ্বীপের নাম ‘নিঝুম দ্বীপ’। এক সময় ৪০ হাজার চিত্রা হরিণ থাকলেও পাচারের কারণে এ সংখ্যা দিন দিন কমছে। নিঝুম দ্বীপের গহিন অরণ্যে রয়েছে প্রায় সাত প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণী, ৩৫ প্রজাতির পাখি, ১৬ প্রজাতির সাপ, ২১ প্রজাতির বনজসম্পদ, ৪৩ প্রজাতির লতাগুল্ম, ৮৩ প্রজাতির গুল্ম এবং ২১ প্রজাতির অন্যান্য গাছসহ সবুজে সবুজে সমারোহে বঙ্গোপসাগরের বুকে এক টুকরো প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি হয়ে উঠেছে এই প্রাকৃতিক দ্বীপ। যার রূপ দেখতে প্রতি বছরই দেশি-বিদেশি পর্যটকরা ভ্রমণ করেন এই দ্বীপ। তাই এ দ্বীপকে বিশ্বজগতে পর্যটকদের সামনে তুলে ধরতে চায় পর্যটন করপোরেশন। দ্বীপ ভ্রমণে যাওয়া পর্যটকদের সকল ধরনের উন্নত ও মানসম্মত সুযোগ-সুবিধা দিতে প্রতিষ্ঠানটি হাতে নিয়েছে একগুচ্ছ কার্যক্রম।

৪৯ কোটি টাকা ব্যয়ে নোয়াখালীর হাতিয়া ও নিঝুম দ্বীপে দুটি পর্যটন কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প হাতে নেয় বিপিসি। ২০১৮ সালের ৬ সেপ্টেম্বর প্রকল্পটি অনুমোদন পাওয়ার পর এটি এখন চলমান রয়েছে। ২০২০ সালে প্রকল্পটির মেয়াদ শেষ হবে। প্রকল্পের মধ্যে নিঝুম দ্বীপে পর্যটকদের জন্য আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সংবলিত ১৬টি কটেজ, ১৬ শয্যার ডরমিটরি, ৯২ আসনের রেস্তোরাঁ, একটি এম্ম্ফি থিয়েটার, একটি মালটি পারপাস হল, একটি পিকনিক শেড, একটি ওয়াচ টাওয়ার নির্মাণ করবে করপোরেশন। এ ছাড়া পর্যটকদের নোয়াখালী থেকে দ্বীপে আনা-নেওয়ার জন্য ২টি ক্রুজ ভেসেলও সাগরে নামাবে পর্যটন করপোরেশন।

অন্যদিকে হাতিয়ায় আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সংবলিত ১৫টি কটেজ, ৬৪ শয্যার ইয়ুথ বিল্ডিং, ১২৮ আসনের রেস্তোরাঁ, একটি মালটি পারপাস হল, একটি পিকনিক শেড, একটি ওয়াচ টাওয়ার নির্মাণ করবে বিপিসি। নিঝুম দ্বীপে ও হাতিয়ার দুটি জায়গার ভূমি অধিগ্রহণ কার্যক্রম শেষ পর্যায়ে রয়েছে। এ কাজ শেষ হলেও অবকাঠামোগত উন্নয়ন পুরোদমে শুরু হবে।

নিঝুম দ্বীপে চলাচলের জন্য পাকা সড়ক রয়েছে হাতেগোনা মাত্র দুটি সড়ক। তারও অবস্থাও খারাপ। সুপেয় পানির জন্য এই দ্বীপে নেই কোনো সুব্যবস্থা। আর প্রাকৃতিক বন পাহারা দেওয়ার জন্য পর্যাপ্ত প্রহরী নেই। এখন দ্বীপে ভ্রমণে যাওয়া পর্যটকদের জন্য বেসরকারি দুটি প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে দুটি আবাসন প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। রয়েছে দুটি সাধারণ হোটেল। তবে তা প্রয়োজনের তুলনায় নগণ্য। তাই এই সকল বিষয়ের ওপর সরকারের সুনজর দেওয়া প্রয়োজন।

Leave a Comment