কাজী নজরুলের বিদ্রোহী কবিতা, Bidrohi Kobita By Kazi Nazrul Islam. | Mitul Official

বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে ‘বিদ্রোহী’ কবিতার স্বতন্ত্র একটি স্থান রয়েছে। এই কবিতার মাধ্যমে নজরুলের আত্মপ্রকাশ। ১৯২২ সালে প্রকাশিত এই কবিতার মাধ্যমে নজরুল তাঁর বিদ্রোহী সত্ত্বা তুলে ধরেন। অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় তৎকালীন সরকার তা ভালো চোখে দেখে নি। সেই বিদ্রোহী কবিতার ব্যাখ্যা নিয়ে আমাদের এই আয়োজন।


কাজী নজরুল ইসলাসের বিখ্যাত কবিতা “বিদ্রোহী”। এটি বাংলা সাহিত্যের একটি শ্রেষ্ঠ কবিতা।

** কবিতাটি বুঝতে হলে অবশ্যই শব্দার্থ এবং টীকা সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে। নিচে গুরুত্বপূর্ণ শব্দ ও চরণগুলো দেয়া হলো। এগুলো জ্ঞানমূলক ও অনুধাবনমূলক প্রশ্ন হিসেবে থাকতে পারে।

মম- আমার
নেহারি- দেখে
দুর্দম- যাকে দমন করা যায় না
দুর্বিনীত- বিনয়ের অভাব, ঔদ্ধত্তপূর্ণ
নৃশংস- হিংস্র
মহাপ্রলয়- সৃষ্টির ধ্বংসকাল
নটরাজ-দেবতা মহাদেবের আরেক নাম
পৃথ্বীর- পৃথিবীর
দুর্বার- অবাধ্য (ইতিবাচক অর্থে)
টর্পেডো-ডুবোজাহাজ থেকে নিক্ষেপণযোগ্য একধরনের অস্ত্র
ভীম- ভীষণ (কবিতায় পৌরাণিক চরিত্র পঞ্চপাণ্ডবের ২য় জনকে বলা হয়েছে)
ধূর্জটি- দেবতা শিব
নিশাবসান-রাত্রির অবসান
সুত-পুত্র
বেদুঈন- আরব দেশের যাযাবর জাতি
চেঙ্গিস- মোঙ্গল জাতির অন্যতম যোদ্ধা
কুর্ণিশ- সম্ভ্রমপূর্ণ সালাম, অভিবাদন, নমস্কার

** শির নেহারি’ আমারি, নত শির ঐ শিখর হিমাদ্রীর।

* মহা প্রলয়ের আমি নটরাজ

* আমি দ’লে যাই যত বন্ধন, যত নিয়ম কানুন শৃঙ্খল

* আমি ভরা-তরী করি ভরা-ডুবি

* আমি টর্পেডো

* আমি ভীম ভাসমান মাইন

* আমি ধূর্জটি

* বিদ্রোহী-সুত

* আমি অবসান, আমি নিশাবসান

* ইন্দ্রানী-সুত

* হাতে চাঁদ ভাল সূর্য

* মম এক হাতে বাঁকা বাঁশের বাঁশরী আর হাতে রণ-তূর্য

* আমি আপনারে ছাড়া করি না কাহারে কুর্ণিশ

#Mitul
#Mitulofficial

Leave a Comment