মরিচ আমাদের দেশে একটি জনপ্রিয় সবজী। অল্প পরিশ্রমে বাড়ির চিলেকোঠা বা ছাদে অথবা ঘরের বারান্দায় অথবা বাড়ির আঙ্গিনায় মরিচ চাষ করতে পারেন।
এটা চাষে খরচও অনেক কম। এটি রান্নার কাজে ব্যবহৃত একটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। একটু রোদ আর সামান্য যত্নে দ্রুত বেড়ে উঠে মরিচ গাছ।
মরিচ চাষের জন্য দোআঁশ মাটি সবচেয়ে উপযুক্ত। এছাড়া সামান্য ক্ষারীয় মাটি ব্যবহার করা যেতে পারে। দোআঁশ মাটির সাথে গোবর সার ভালো করে মিশিয়ে টব ভর্তি করুন।
টবের এই মাটিতে যথেষ্ট পানি দিন যাতে মাটি ভেজা ভেজা থাকে। এবং লক্ষ্য রাখুন মাটি যেন একেবারে শুকিয়ে না যায়। এবং আদ্র স্থানে রাখুন।
ছাদে অথবা বারান্দায় মরিচ চাষের ক্ষেত্রে মাটির অথবা প্লাস্টিকের টব ব্যবহার করা উত্তম।
এছাড়াও পলিব্যাগ, টিনের কৌটা বা প্লাস্টিকের পাত্র ব্যবহার করা যেতে পারে। মরিচ গাছের জন্য মাঝারী আকৃতির টব হলেই চলে।
আমাদের দেশে সাধারণত স্বাদ ও ব্যবহারের ওপর ভিত্তি করে মরিচকে দুই ভাগে ভাগ করা হয় ঝাল ও মিষ্টি মরিচ।
এছাড়া বেশ কিছু ভালো জাতের মরিচের মধ্যে আছে ধানি মরিচ, বালুঝুরি, ভিন্ডি, বারোমাসি ইত্যাদি।
সাধারণত মরিচ চাষের উপযুক্ত সময় হল মে-জুন মাস। এছাড়া শীতকালের শুরুতে অক্টোবর মাসেও মরিচের বীজ বপন করা যায়।
এসময় বীজ বপন করলে মরিচের ভাল ফলন পাওয়া যায়।
বীজ বপনের ক্ষেত্রে টবের অথবা উপযুক্ত পাত্রের মাটিতে শুকনা বীজ ছড়িয়ে দিন।
কিছুদিন পরে দেখা যাবে বেশকিছু চারা গাছ গজিয়েছে। সেখান থেকে সরস বা শক্তিশালী চারা গুলো রেখে বাকি চারাগুলি উপড়ে ফেলুন।
বাসার তরিতরকারির ছাল, পাতা, খোসা ও ঘর ঝাড়ুর ফলে জমা ধুলাবালি, আবর্জনা জমা করে পাত্রটি ছাদে বা বারান্দায় রেখে সেটাকে পচিয়ে সার বানিয়ে মরিচ গাছে দিতে পারেন। এটা মরিচ গাছের জন্য খুবই উপকারী।
যখন মরিচের চারা বড় হয় সে সময়ে মাটিকে আর্দ্র রাখাটা খুবই জরুরি। যথেষ্ট আলোবাতাস ও পানির প্রয়োজন হয় মরিচ গাছের বৃদ্ধির জন্য। তাই এদেরকে ছাদে বারান্দায় অথবা জানালার পাশের রৌদ্রোজ্জ্বল স্থানটিতে রাখুন।
যেন খুব বেশি রোদ না লাগে। এবং সকাল অথবা বিকালে মরিচ গাছের যত্ন নিন।