বাংলাদের শীত কালীন সবজি মাঝে ফুলকপি অন্যতম সাদে ও গুনে ভরফুর এই সবজিটির চাষাবাদ নিয়ে আজ আমরা আলোচন করবো।
বাংলাদেশে প্রায় এক’শ রকমের ফসল জন্মে। এর মধ্যে সবজি জাতীয় ফসলই বেশি তার মাঝে ফুলকপি অন্যতম।
ফুলকপি একটি পুষ্টিকর, সুস্বাদু সবজি যা আমাদের দেশে খুবই জনপ্রিয়।
আমাদের দেশে চাষকৃত ফুলকপি অধিকাংশই সংকর জাতের এবং বিদেশ থেকে আমদানিকৃত যা স্থানীয় আবহাওয়ায় বীজ উৎপাদন করে না। ঠাণ্ডা ও আর্দ্রতা জলবায়ুতে ফুলকপির ভাল ফলন পাওয়া যায়।
সেচ ও পানি নিষ্কাশনের সুবিধা আছে এমন ধরনের সব মাটিতে ফুলকপির চাষ ভাল হয়।ফুলকপির জন্য উর্বর মাটি হলে ভাল হয়।
আগাম ফসলের জন্য দো-আঁশ এবং নাবি ফসলের জন্য এঁটেল ধরনের মাটি উত্তম৷ এঁটেল দো-আঁশ মাটিতে জৈব সার প্রয়োগ করে ভালো ফসল জন্মানো যায়৷
আমাদের দেশে মাঘী, অগ্রহায়ণী, পৌষালী, বারি ফুলকপি-১, ২ ইত্যাদি বিভিন্ন জাতের ফুলকপি পাওয়া যায়।
ফুলকপি বপনের উপযুক্ত সময় হল আগষ্ট ও সেপ্টেম্বর। প্রতি শতকে বীজের পরিমাণ দুই গ্রাম।
বীজতলার জন্য ৩ ×১ মিটার মাপের ১৫ সে.মি. উঁচু বেড তৈরি করলে ভাল হয়।
এ দেশে এখন ফুলকপির পঞ্চাশটিরও বেশি জাত পাওয়া যাচ্ছে। শীতকালেই আগাম, মধ্যম ও নাবি মওসুমে বিভিন্ন জাতের ফুলকপি আবাদ করা যায়।
এগুলো মাঝে উল্লেখ যোগ্য বারি ফুলকপি ১ (রূপা), চম্পাবতী ৬০ দিন, চন্দ্রমুখী
ফুলকপির চারা বীজতলায় উৎপাদন করে জমিতে লাগানো হয়। বীজতলার আকার এক মিটার পাশে ও লম্বায় তিন মিটার হওয়া উচিত। সমপরিমাণ বালু, মাটি ও জৈবসার মিশিয়ে ঝুরঝুরা করে বীজতলা তৈরি করতে হয়।
চারায় পাঁচ থেকে ছয়টি পাতা হলেই তা রোপণের উপযুক্ত হয়।