আদা চাষ পদ্ধতি। গ্রামাঞ্চলে কৃষক পর্যায়ে কিভাবে,কত দুরত্বে এবং শতাংশে কি পরিমাণ বীজ ব্যবহার করে??
আদা চাষে করনীয়, সহজে আদা চাষ কৌশল।
@Krishi Seba
#Gingercultivation
#আদাচাষপদ্ধতি
#বস্তায়আদাচাষ
#করোনায়আদা
বাজার থেকে কেনা আদা থেকে কিছু অংশ বাচিয়ে খুব সহজে পরিবারের চাহিদা পূরণ করতে পারেন।
কেজি বীজের প্রয়োজন হয়।
#organic cultivation ginger
সার ব্যবস্থাপনাঃ
আদার ভাল ফলন পেতে হলে জমির উর্বরতার উপর নির্ভর করে প্রতি হেক্টরে গোবর সার ৪-৬ টন, ইউরিয়া ২০০-২৪০ কেজি, টিএসপি ১৭০-১৯০ কেজি, এমওপি ১৬০-১৮০ কেজি প্রয়োগ করতে হয়। জমি প্রস্তু’তির সময় সমুদয় গোবর, টিএসপি ও ৮০-৯০ কেজি এমওপি সার প্রয়োগ করতে হয়। কন্দ লাগানোর ৫০ দিন পর ১০০-১২০ কেজি হারে ইউরিয়া সার উপরি প্রয়োগ করা হয়। লাগানোর ৯০ দিন ও ১২০ দিন পর যথাক্রমে ২য় ও ৩য় কিস্তি-র সার উপরি প্রয়োগ করা হয়। ভেলা সামান্য কুপিয়ে ১ম কিস্তি-র সার প্রয়োগ করে আবার ভেলা করে দিতে হয়। ২য় ও ৩য় কিস্তি-র উপরি প্রয়োগের সময় প্রতি হেক্টরে প্রতিবারে ৫০-৬০ কেজি ইউরিয়া ও ৪০-৪৫ কেজি এমওপি সার প্রয়োগ করা হয়। ২য় ও ৩য় কিস্তি-র সার সারির মাঝে প্রয়োগ করে মাটি কোঁদাল দিয়ে কুপিয়ে মাটির সাথে মিশিয়ে সামান্য পরিমাণ মাটি ভেলীতে দিতে হয়।
জাত পরিচিতিঃঅনুমোদিত কোন জাত নেই। তবে স্থানীয় জাত যেমন-রংপুরী, খুলনা, টেংগুরা জাত চাষ করা হয়।
রোগ ব্যবস্থাপনা : পিথিয়াম এফানিডারমেটাম নামক ছত্রাক
: এ রোগ রাইজমে আক্রমণ করে বলে আদা বড় হতে পারে না ও গাছ দ্রত মরে যায় ফলে সমূহ ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে।
রোগঃ : প্রথমে পাতা হলুদ হয়ে যায় কিন্তু’ পাতায় কোন দাগ থাকে না।
– পরবর্তীতে গাছ ঢলে পড়ে ও শুকিয়ে মরে যায়।
– রাইজম (আদা) পচে যায় ও ফলন মারাত্মক ভাবে কমে।
ব্যবস্থপনা :
– অর্ধপচা মুরগীর বিষ্ঠা প্রতি হেক্টরে ১০ টন হারে আদা লাগানোর ২১ দিন পূর্বে মাটিতে প্রয়োগ করতে হবে।
– অনুমোদিত ছত্রাক নাশক মাটি হালকা কুপিয়ে মাটিতে স্প্রে করতে হবে।
পুষ্টিমূল্যঃ আদায় ক্যালসিয়াম ও প্রচুর ক্যারোটিন থাকে।
ফসল সংগ্রহঃআদা লাগানোর ৯-১০ মাস পর উঠানোর উপযোগী হয়। গাছের প্রায় সব পাতা শুকিয়ে গেলে আদা তোলা হয়। ফলন প্রতি হেক্টরে ১২-১৩ টন।